নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- নগর পিতা পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে স্থানীয় ভূমিদস্যু মাঝে।পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে কাউনিয়া এলাকায় ঘুরে দেখা যাচ্ছে একে একে ভরাট করে ফেলেছে সকল পুকুর ডোবা নালা। তেমনটি বরিশাল নগরীতে একে একে ভরাট হয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী পুকুরগুলো। ভূমিদস্যুদের থাবায় পুরনো অসংখ্য পুকুর ভরাট হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে নগরীর অসংখ্য পুকুরের নাম-নিশানা পর্যন্ত হারিয়ে গেছে। পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে-পুকুর এবং খালগুলোও ভরাটের ফলে পরিবেশ দূষণে মানবসভ্যতা বিরোধী প্রতিযোগিতা চলছে।
ভরাট হওয়া পুকুর ও খালগুলোতে বহুতল ভবন এবং মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে। আবার যেসব পুকুর রয়েছে সে সবও পর্যায়ক্রমে ভরাটের পায়তারায় মগ্ন রয়েছেন পরিবেশ বিনষ্টকারী ভূমি খেকোরা। বিশেষ করে বরিশাল নগরীর ১নং ওয়ার্ড কাউনিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে হাওলাদার বাড়ি সড়ক পরপর দুটি পুকুর ভরাটের সকল আয়োজন প্রস্তুতি সম্পন্নের নীলনকশায় পথে রয়েছে। শনিবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায় কয়েকজন শ্রমিক সন্ধ্যা থেকে পুকুর ভরাটের জন্য পুকুর বালু দিয়ে ভরাটের কাজ চলছে সন্ধ্যা থেকে সারারাত চলে পুকুর ভরাটের কাজ।
শনিবার (০৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭:৩০ মিনিটে হঠাৎ করে পুকুর ভরাটের জন্য কাজ শুরু দৃশ্য দেখে এলাকাবাসী হতবাক।নিরবে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন এলাকার শান্তিপ্রিয় নারী পুরুষ। এই পুকুর গুলো ভরাটের দৃশ্য কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। কারণ এই পুকুরে এলাকার শত সহস্র লোকজনের পানি সমস্যা সমাধান করে আসছিল। তবুও এলাকার সাধারণ জনগণ ভয়ে মুখ খুলতে পারছে না। প্রতিবাদের ভাষা নেই। এলাকার লোকজন আরো বলেন অনেকদিন যাবত পুকুর ভরাট করে আসছেন তারা।
মসজিদে নামাজ শেষে একাধিক মুসুল্লিরা অভিযোগ করে বলে শতবর্ষী এই পুকুর দুইটি ভরাটের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আমরা সিটি কর্পোরেশনে পুকুর যাতে ভরাট করতে না পারে তার জন্য সিটি কর্পোরেশনে অভিযোগ দিয়েছি কিন্তু অভিযোগ দিয়েও কোন কাজে আসছে না।
সম্প্রতি পুকুর দুটিতে একটিতে মোঃ সগির অন্যটি মাসুমের ভাগ্নে সজিবের নেতৃত্বে ভরাট কাজ চলছে। ছগির জানান ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে বিষয়টি জানিয়ে কাজ শুরু করেছি।কাউন্সিলর ভরাটের বিষয়টি অবহিত আছে।
পুকুর দুটি ভরাট হলে ক্ষতির মূখ পরবে স্থানীয় জনগন। ওখানকার অনেক মুরুব্বি গান বলেছেন এই পুকুরে আমার বাপ দাদারা গোসল করেছে আমরাও গোসল করেছি সাঁতার শিখেছি কিন্তু স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির নেতৃত্বে কুকুরগুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে।
পুকুর ভরাটের বিষয়ে ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আউয়াল মোল্লা মুঠোফোনে জানান আমি বিষয়টি জানি। তিনি আরো বলেন আমার কথাই শেষ কথা আমি ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আউয়াল মোল্লা। কয়েকদিন আগে সিটি কর্পোরেশন ভরাট বন্ধ করে দিয়েছিল কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি দাম্ভিকতা শহীদ বলেন সিটি কর্পোরেশন তাদের কাজ তারা করেছে আমি আবার কাজ করার অনুমতি দিয়েছি আপনারা নিউজ করেন।
সিটি কর্পোরেশনের আইন অমান্য করতে পারেন কিনা এমন জবাবে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
Leave a Reply